রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশান-বনানী-বারিধারা। পাশেই ঢাকা সেনানিবাস, মহাখালী ও ভাসানটেক। এসব এলাকা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ঢাকা-১৭। মর্যাদাপূর্ণ এ আসনটি বিএনপি ছেড়ে দিতে পারে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থকে। বিএনপির বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীও মাঠে। জামায়াতের এসএম খালিদুজ্জামান বেশ আলোচনায়। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।
দেশের ধনী শ্রেণির বড় অংশের বসবাস এই নির্বাচনি এলাকায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন বা দূতাবাস আছে গুলশান-বারিধারায়। এ আসনে জনপ্রতিনিধি কে হবেন তা নিয়ে সব সময় চলে ভিন্ন আলোচনা। জামায়াত ছাড়া কোনো দলই এখনো মনোনয়ন চূড়ান্ত করেনি আসনটিতে। বিএনপির বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছোট কয়েকটি দলও আছে প্রচারণায়। তবে রাজনীতির পরিচিত মুখ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ আলো কাড়ছেন বেশি।
তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ডা. এসএম খালিদুজ্জামান প্রচার-প্রচারণায় পার্থের চেয়ে এগিয়ে। সভা-সমাবেশ বা গণসংযোগ করছেন নিয়মিত। আন্দালিব পার্থ নিজ দলের প্রতীক গরুর গাড়ির ছবি সম্বলিত ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়েছেন। কিছু পোস্টারে দলের প্রতীক ব্যবহার করেননি, যা বিএনপি জোট থেকে নির্বাচনের ইংগিত দেয়।

স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ বলছে, বিএনপির সঙ্গে জোট করে ওই আসনে প্রার্থী হবেন আন্দালিব রহমান পার্থ। এরই মধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে অঘোষিতভাবে তাকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনি জোট করলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোটে অংশ নিতে হবে—নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এমন আইন রয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি ইসিতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। বিষয়টি এখনো আমলে নেয়নি ইসি। তাই আন্দালিব রহমান পার্থ তার দলের প্রতীক এবং প্রতীক ছাড়া ব্যানার-পোস্টারেও প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দল এখনো এককভাবে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার হয়ে কাজ করবো।- স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসাইন
এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল জামান মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসাইন, বিএনপি নেতা মাহমুদুল আলম সোহাগ, গুলশান থানা যুবদলের নেতা মো. হাসান ভূঁইয়া, এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী ফারহা নাজ সাত্তারসহ বেশ কয়েকজন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা নিজ সংসদীয় আসনে ব্যানার-পোস্টার, পথসভা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপি ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় এ আসনটি নেই, মানে আপাতত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে পার্থের জন্য রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন
কে হতে পারেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা-৪ আসন/মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির দুই নেতা, মাঠে সক্রিয় জামায়াত-এনসিপিও
ঢাকা-১৩ আসন/ববি হাজ্জাজে ছন্দপতন বিএনপিতে, মোবারকে ফুরফুরে জামায়াত
গাজীপুর-১/৪ ভাগে বিভক্ত বিএনপি, নির্ভার জামায়াত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড (গুলশান, বনানী, মহাখালী, নিকেতন, কড়াইলবস্তি, বারিধারা, শাহজাদপুর, ঢাকা সেনানিবাস, ভাসানটেক) এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন গঠিত। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, আসনটিতে মোট ভোটার তিন লাখ ২৩ হাজার ৯৩৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩, নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ১৪৭ ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা পাঁচজন।
আসনটিতে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ এ আরাফাত। বিএনপি ও জামায়াত ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০০৮ সালে এ আসনের এমপি ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন চলচ্চিত্র অভিনেতা, এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।
আন্দালিব রহমান পার্থের প্রচারণায় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে স্থানীয় বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডে। এ কারণে দিনের অধিকাংশ সময় ওই রোডে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীদের ভিড় থাকে। সম্প্রতি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভিড় আরও বেড়েছে। যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া কাউকে ওই কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ফলে বাইরের সড়ক-ফুটপাত, চায়ের দোকানে গল্প-আড্ডায় মেতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। গুলশান তথা ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা তাই বেশি।
এ এলাকা থেকে নিজ দলের নেতাকর্মীদেরই অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। তবে যতুটুকু জানতে পেরেছি, এ আসনটি হয়তো বিজেপিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। রাজনীতির কোন খেলার অংশ হিসেবে ছাড়া হবে, তা পরিষ্কার নয়।- গুলশান বিএনপির প্রবীণ নেতা খায়রুদ্দিন আলম
কার্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় মনোনয়প্রত্যাশী বেশ কয়েকজনের ছবি সম্বলিত পোস্টার-ব্যানার দেখা যায়। তাদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল জামান মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসাইনের ব্যানার-পোস্টার চোখে পড়ে বেশি। একইভাবে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের প্রচারণাও চোখে পড়ার মতো।

গুলশান-১ গোল চত্বরের পশ্চিম-উত্তর কোণে নাভানা টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স। এ কমপ্লেক্সের সামনের বিশাল অংশজুড়ে ব্যানার টানিয়েছেন ভোলা-১ আসনের দুই বারের সাবেক (২০০১ ও ২০০৮) সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থ। ব্যানারে লেখা ‘আপনাদের প্রতিটা ভোট নিয়ে আসতে পারে পরিবর্তন’। তবে এ ব্যানারে বিজেপির গরুর গাড়ির কোনো প্রতীক ছিল না। যদিও পাশের ডিএনসিসি মার্কেটের দেওয়ালে গরুর গাড়ি প্রতীক সম্বলিত পোস্টারে পার্থের প্রচারণা দেখা গেছে।
বিএনপি থেকে সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দালিব রহমান পার্থ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এত তাড়াতাড়ি কথা হবে না, আরও পরে।’
তবে আন্দালিব রহমান পার্থের প্রচারণা দেখে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। খোদ প্রার্থীরাও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন, যে আন্দালিব রহমান পার্থ কী চাচ্ছেন। কারণ, পার্থের সঙ্গে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বেশ সখ্য। পার্থ যদি চান তাহলে বিএনপি এ আসন ছেড়েও দিতে পারে। কিন্তু তারপরও প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। এর মধ্যে একজন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল জামান মোল্লা।
একই ভাবে নিজের অবস্থান থেকে প্রচারণায় আছেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসাইন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দল এখনো এককভাবে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার হয়ে কাজ করবো।’
গুলশান বিএনপির প্রবীণ নেতা খায়রুদ্দিন আলম। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী বা মনোনয়ন নিয়ে তার ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে খায়রুদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনটি রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, বাণিজ্যিক অফিস রয়েছে। এ এলাকা থেকে নিজ দলের নেতাকর্মীদেরই অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। তবে যতুটুকু জানতে পেরেছি, এ আসনটি হয়তো বিজেপিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। রাজনীতির কোন খেলার অংশ হিসেবে ছাড়া হবে, তা পরিষ্কার নয়।’
দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর পরিচিত সার্কেলে প্রচারণা শুরু করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অ্যাকটিভ আছি। এর বাইরে নভেম্বর থেকে ভোটারদের কাছে যাওয়া শুরু করবো।- এবি পার্টির ফারহা নাজ সাত্তার
২৫ অক্টোবর গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডের দক্ষিণ মাথায় একটি চায়ের দোকান বসে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্থানীয় বিএনপি কর্মী আরিফুল ইসলাম। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘জানতে পেরেছি ঢাকা-১৭ আসন থেকে আন্দালিব রহমান পার্থকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ নিয়ে দলের কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। এমন অবস্থায় জামায়াতের পুরো মাঠ গোছানো। দলীয় প্রার্থী বা প্রতীক ছাড়া এখানে জয়লাভ করা অনেক কঠিন হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ডা. এসএম খালিদুজ্জামান
জামায়াতে ইসলামী সূত্র জানায়, ঢাকা-১৭ আসনের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডে তাদের সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সদস্য সংগ্রহ, দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন। কয়েক মাস আগে ডা. এসএম খালিদুজ্জামানকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদ সদস্য প্রার্থী ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। তারপর থেকে তাদের প্রচারণার গতি আরও বেড়ে যায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো ছেয়ে গেছে তার ব্যানার-পোস্টারে। এছাড়া উঠান বৈঠক বা পথসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তিনি।

গত ২০ অক্টোবর মহাখালীর কলেরা হাসপাতালের সামনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা। এ সমাবেশে নিজ নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন এসএম খালিদুজ্জামান। এর আগে বিভিন্ন সময় মহাখালী, গুলশান, বনানী, কড়াইল বস্তির বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতের এই প্রার্থীকে নির্বাচনি প্রচারণায় দেখা গেছে।
মহাখালী ওয়ারলেসের বাসিন্দা মোস্তাকিন আহমেদ বলেন, ‘আগে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে ভোট নিয়ে মহল্লায় তেমন আলোচনা হতো না। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। ভোটারদের মুখে জামায়াতেরও প্রশংসা শোনা যাচ্ছে।’
এবি পার্টির প্রার্থী ফারহা নাজ সাত্তার
বিএনপি, জামায়াতের বাইরে ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী ফারহা নাজ সাত্তার। সম্প্রতি দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি নিজ বলয়ে প্রচারণা শুরু করেন। নভেম্বরের শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
জানতে চাইলে এবি পার্টির মনোনীত ফারহা নাজ সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর পরিচিত সার্কেলে প্রচারণা শুরু করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অ্যাকটিভ আছি। এর বাইরে নভেম্বর থেকে ভোটারদের কাছে যাওয়া শুরু করবো।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ তথাকথিত রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তারা ভিন্ন (বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত বাদ দিয়ে) কাউকে চায়। তারা পরিবারতন্ত্রের বাইরে বের হতে চায়। আমাদের পার্টি এমনটাই প্রমোট করে। আশাকরি জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন।’
আবার আলোচনায় হিরো আলম
২০১৮ সালে বগুড়া-৪ আসনে সংসদ নির্বাচন করে রাজনীতিতে প্রথম আলোচনায় আসেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। পরে বগুড়া-৪ ও ৬ আসন থেকে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে যান। ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিরুদ্ধে লড়াই করে দ্বিতীয় হন। একই আসন থেকে এবার শক্তিশালী প্রার্থী বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ ও জামায়াতের ডা. এসএম খালিদুজ্জামানের মতো প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। যদি কোনো দলের টিকিট না পান সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হিরো আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া আমার কাছে শুধু জয়ের বিষয় নয়, এটা একটা প্রতিবাদের মাধ্যমও। আগে যেমন প্রতিবাদ করেছি, এবারও করবো। দেশে এখন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এটা সবার প্রত্যাশা। আমিও তাই চাই। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে। সেজন্যই নির্বাচন করবো। আমি ১০০ ভোট পেলেও কোনো সমস্যা নাই। নির্বাচন হোক, সুষ্ঠুভাবে হোক। মানুষ উৎসব করে ভোট দিতে আসুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দলের প্রধানের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। দলগুলো যেসব প্রস্তাব দিচ্ছে সেগুলো আমি মানতে পারবো কি না সেটা ভেবে দেখছি। ব্যাটে-বলে মিললে কোনো দলে যাবো। নইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো।’
এমএমএ/এএসএ/এমএফএ/জেআইএম

                        6 hours ago
                        6
                    








                        English (US)  ·