প্রতিবেদন দাখিলে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাইব্যুনাল

1 day ago 10

যশোরের চৌগাছায় গ্রেফতারের পর বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে ২০১৬ সালে ছাত্রশিবিরের দুজন নেতার পায়ে গুলি করার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এসআই আকিকুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যে তিন মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সঙ্গে সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানি ও প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ২০২৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৫ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ দিন ঠিক করে আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। মামলায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন—চৌগাছা থানার তৎকালীন কনস্টেবল সাজ্জাদুর রহমান ও কনস্টেবল জহরুল হক। তাদের এদিন কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল-১। জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়ার পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তারও আগে ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে যশোরের চৌগাছায় ছাত্রশিবিরের দুজন নেতাকে গ্রেফতার করে বন্ধুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে পায়ে গুলি করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুজন পুলিশকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল। তারা হলেন পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো.আতিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল সাজ্জাদুর রহমান।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ওইদিন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালে যশোরের চৌগাছা থানা এলাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হয়। এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে পরিচয় জানার পর তাদের সঙ্গে ‘চুক্তি’ হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুজনকে আদালতে হাজিরের কথা ছিল। কিন্তু আগের দিন রাতে তাদের চোখ বেঁধে অন্য স্থানে নিয়ে দুই হাঁটুতে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। তবে বন্দুকযুদ্ধে গুলি হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে তোলা হয়। পরে শুনানি শেষে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠান আদালত। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শিবির নেতারই পা কেটে ফেলতে হয়। গুলি করা দুজন পুলিশ সদস্য এখনো দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন। তাদের গ্রেফতার ( ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর)করে হাজির করলে ট্রাইব্যুনাল কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, দুজন শিবির নেতাকে গুলি করার ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়। সারা বাংলাদেশে সে সময় এবং পরবর্তী সময় বিরোধী রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের গ্রেফতার করে পরিকল্পিতভাবে কারও হাঁটুতে, কারও হাতে বা বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে বিকলাঙ্গ করা হয়েছে। যার কারণে এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ।

এফএইচ/এমআইএইচএস

Read Entire Article