‘একটি ফুলের তোড়ায় কয়েক ধরনের ফুল থাকে, তেমনি আমাদের সবার চিন্তাধারাও ভিন্ন। বহির্বিশ্বের রাজনীতিতে আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলব। বন্ধুত্ব তবে প্রভুত্ব নয়।’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে এক সংবর্ধনা সভায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হ্যামট্রামেক শহরের গেটস অফ কলম্বাসের একটি হলরুমে আয়োজন করা হয় গণ সংবর্ধনার। অনুষ্ঠানে অতিথিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ডা. মোতাহের হোসেনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা সুহেল আহমেদের পরিচালানায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
ডা. শফিকুর রহমান দলের ৪১টি অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরলেও সংক্ষেপে সাতটির বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। তিনি জনতার উপস্থিতি দেখে মিশিগানকে ছোট বাংলাদেশ হিসেবে অভিহিত করেন।

দেশে আমূল পরিবর্তনে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন জামায়াত আমির। সরকার গঠন করেন বা বিরোধী দলে থাকেন আগামীতে সংসদে যেন প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব থাকে, যে কোনোভাবেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।
তিনি বলেন, দুনিয়ার এত ছোট জায়গায় আমাদের দেশের মতো এত মানুষ জানা নেই। এ সমাজের মানুষের মধ্যে বৈষম্য থাকবে না। দেশে চারটি বিদ্যমান থাকলেও পাশাপাশি মিলে বসবাস করছি। আমাদের মধ্যে বর্ণ বিষম্য নাই, তবে শ্রণিবৈষম্য আছে।ক্ষমতায় গেলে সব ভুলে যান।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে আপস করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যে অপরাধ করবেন, তাকেই আইনের আনা হবে জানান।
তিনি আরও বলেন, যে জাতির মেরুদণ্ড ঠিক নেই, সেই জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও টেকনোলজিভিত্তিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, সমালোচনা হবে গঠনমূলক। জাতির স্বার্থে কল্যাণে। সমাজের দুই শ্রেণির মানুষকে উভয়দিক থেকে দেখতে হয় রাজনৈতিক সমাজ ও সাংবাদিক সমাজ। এই দুই জায়গায় কোথাও ঘাটতি হলে সমাজে অসমতা দেখা দেয়। তাই আপনারা সাদাকে সাদা ও কালোকে কালই বলবেন। প্রয়োজনে সমালোচনা করবেন, দল এবং রাষ্ট্র উভয়ই লাভবান হবে।
গণ সংবর্বধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াত ইসলামি যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ডা. নাকিবুর রহমান, ডা. খালেদ্জ্জামান, ইমাম আব্দুল লতিফ আজম, অ্যাটর্নি রুহুল মোমেন ও সাইদুল ইসলাম।
প্রথমবারের মতো মিশিগানে কোনো দলীয় প্রধানের বক্তব্য শোনার জন্য পুরো হলভর্তি নারী পুরুষের সমাগম ঘটে। অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন রেনেসাঁ শিল্পী-গোষ্ঠী।
এমআরএম/এমএস

2 weeks ago
19









English (US) ·