বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগং কিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজি এসকিউ স্পোর্টস ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করতে পারবে না মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন শুনানি নিয়ে রোববার (২ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক এর চেম্বার জজ আদালত আগের আদেশ স্থগিত করেন।
এই আদেশের ফলে প্রয়োজনীয় সব শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে চিটাগং কিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিকার প্রদান করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্বাধীনতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান।
আদালতে আজ বিসিবির পক্ষে শুনানি করেন অতিরক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক, ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান ও ব্যারিস্টার আশিকুর রহমান। অন্যদিকে এসকিউ স্পোর্টসের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির।
বিসিবির আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন রহমান জাগো নিউজকেবলেন, এই আদেশের ফলে চিটাগং কিংসকে বিপিএলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলো না। বিপিএলে দল পেতে হলে এসকিউ স্পোর্টসকে অবশ্যই বিসিবির নির্ধারিত নিয়ম মেনেই আসতে হবে।
আরও পড়ুন
চিটাগাং কিংসের কাছে বকেয়া পাওনা বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে যা বললো বিসিবি
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড হাইকোর্ট থেকে একটি নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেয়েছিলেন। যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আসন্ন বিপিএলের জন্য চট্টগ্রাম দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিকার এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করতে পারবে না মর্মে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিসিবি ওই দিনই আবেদন করে, যা আজ শুনানিতে ওঠে।
বিপিএলের জন্য চট্টগ্রাম দলের মালিকানা পাওয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ১১টি প্রতিষ্ঠান দল পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, কিন্তু তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বাদে অন্য শহরগুলোর জন্য একটি করে প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিসিবি দলগুলোর নাম চূড়ান্ত করবে, তাই চট্টগ্রাম দল নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এই আইনি লড়াইয়ের সূত্রপাত হয় বিপিএলের আসন্ন আসরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াকে ঘিরে। বিসিবি সম্প্রতি পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি চেয়ে আবেদন আহ্বান করে। গত ৩০ অক্টোবর ১১টি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টিকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালেও চিটাগং কিংসের জন্য আবেদন করা এসকিউ স্পোর্টসকে সেই সভায় ডাকা হয়নি।
এর প্রতিবাদে এসকিউ স্পোর্টস বিসিবির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলে। তারা দাবি করে, চলমান আইনি প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে আদালতের আদেশ অমান্য করেছে বিসিবি।
বিসিবির পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল, নিয়ম অনুযায়ী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ দুই কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা না দেওয়ায় এসকিউ স্পোর্টসকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে চিটাগং কিংস এই ব্যাখ্যাকে ‘বাস্তবতার পরিপন্থি’ বলে দাবি করে। তাদের ভাষ্য ছিল, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ইফতেখার রহমানের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে যে, পূর্ববর্তী একটি বিরোধ নিষ্পত্তির পরই তারা নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি জমা দেবে।
বিপিএলের প্রথম দুই আসরে অংশ নেওয়া চিটাগং কিংসের সঙ্গে বিসিবির সেই ‘পূর্ববর্তী বিরোধ’ মূলত বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে। সেসময় ক্রিকেটারদের বকেয়া পাওনা বিসিবিকেই পরিশোধ করতে হয়েছিল, যা সুদসহ বর্তমানে ৪৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে বিসিবি দাবি করে আসছে।
এফএইচ/ইএ/জিকেএস

13 hours ago
9









English (US) ·