বিয়ের ২ বছর পর করা অভিযোগ কেন আমলে নেওয়া যাবে না, হাইকোর্টের রুল

15 hours ago 7

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা অনুযায়ী, বিয়ে হওয়ার দুই বছর পর এ বিষয়ে করা কোনো অভিযোগ আদালত আমলে নিতে পারবে না। এই ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলটি জারি করেন। এতে দুই বছর সময়সীমার পর বাল্যবিবাহের অপরাধ আমলে নিতে আইনগত বাধা কেন ন্যায়বিচারের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী তানজিলা রহমান জুঁই। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন
সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিতে ৬ দফা ইশতেহার দিলো শিশুরা
বৈষম্য ও সহিংসতার বেড়াজালে কন্যাশিশু, নিরাপদ শৈশব এখনো অধরা
কন্যাশিশু কি পরিবারে দুশ্চিন্তার জন্ম দেয়?

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ইশরাত। তিনি বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর ধারা ১৮-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিটটি করেন। এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইবার ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করা না হইলে আদালত উক্ত অপরাধ আমলে গ্রহণ করিবে না।’

আইনজীবী ইশরাত বলেন, বাল্যবিবাহের শিকার শিশুরা প্রায়ই অল্পবয়সী ও মানসিকভাবে অসহায় থাকে। তারা তখন অভিযোগ জানাতে পারে না। কিন্তু যখন বিষয়টি বুঝে অথবা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যখন বিচার চায়, তখন এই ১৮ ধারা তাদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। এটি রাষ্ট্রের ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। এটি এমন একটি আইনি বাধা যা বাস্তবে অপরাধীকে রক্ষা এবং ভুক্তভোগীকে বঞ্চিত করে। এটি সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আইনের সমান সুরক্ষা ও ন্যায়বিচারের অধিকারের পরিপন্থি।

এফএইচ/একিউএফ/জিকেএস

Read Entire Article