ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব ফার্মেসি বন্ধ ঘোষণা

4 days ago 12
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের বরাদ্দকৃত বৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা অবৈধ বলে উচ্ছেদ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সকল ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ধর্মঘট পালন করছে ড্রাগিস্ট ও কেমিস্ট সমিতি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে এই কর্মসূচি পালন শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। এতে শহরের সহস্রাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছে রোগী ও সাধারণ মানুষ।  এদিকে, কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ওষুধ দোকানের ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় বক্তব্য দেন জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ছানাউল হক ভূঁইয়া, পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিয়াউল হক, ব্যবসায়ী খোকন খান প্রমুখ।  বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজ মার্কেটে ১৪টি দোকান ২৮ হাজার টাকা করে সিকিউরিটি মানি দিয়ে বৈধভাবে ভাড়া নেওয়া। ব্যবসায়ীরা নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে আসছে। অথচ সম্প্রতি বরাদ্দকৃত দোকানগুলোকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অমানবিক ও অবৈধ। ব্যবসায়ীরা দোকান স্থানান্তরের জন্য পূর্বে চুক্তিনামামূলে ছয় মাস সময় দাবি করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। এ অবস্থায় অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সংগত সমাধান চান তারা। সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর অভ্যন্তরে জেলা সদর হাসপাতালসহ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। সোমবার সকাল থেকে শহর অভ্যন্তরে ফার্মেসিগুলো বন্ধ থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে রয়েছেন।  চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা জানান, ডাক্তার দেখানোর পর চিকিৎসা শেষে ফার্মেসি ওষুধ কিনতে গেলে তারা সকল ফার্মেসি বন্ধ পান। কোনো ধরনের ওষুধই তারা কিনতে পারছেন না। এতে দুচিন্তায় পড়ে গেছেন সবাই। ফলে শহরে বাইরে থেকে তাদের ওষুধ নিতে হচ্ছে। বিষয়টি তারা দ্রুত সমাধান চান।  এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নতুন গেট নির্মাণের দাবিতে কয়েকদিন যাবত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। 
Read Entire Article