নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। তিনি শহরটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম, সবচেয়ে কম বয়সী এবং আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যক্তি যিনি মেয়র পদে নির্বাচিত হলেন।
সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে হারিয়ে মামদানি এই জয় নিশ্চিত করেন। তার বিজয় যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ ও বামঘেঁষা রাজনীতির নতুন দিগন্ত খুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এখন তার সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ—জাতীয় পর্যায়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ও বয়ান প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিপক্ষরা যেন তার আগেই সেই বয়ান নিয়ন্ত্রণ না নিতে পারে, সেটাই মামদানির মূল পরীক্ষা।
ডেমোক্র্যাট গভর্নর ক্যাথি হোকুল ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, মামদানির উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির জন্য কর বাড়ানোর প্রস্তাবে তিনি সমর্থন দেবেন না। ফলে মেয়রের পদে থেকেই নীতি বাস্তবায়নে বাধার মুখে পড়তে পারেন মামদানি।
এদিকে রিপাবলিকান নেতারা তাকে ‘বিপজ্জনক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার সমালোচনায় সরব হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মামদানি এখন এক নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর তার সামনে সুযোগ থাকবে নিজের নেতৃত্বের পরিচয় গড়ে তোলার।
নিজের বিজয় ভাষণে মামদানি বলেছেন, আমরা সবাই লড়ছি শ্রমজীবী মানুষের জন্য।
নিউইয়র্কের রাজনীতিতে এই জয় তাকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, জোহরান মামদানির আসল লড়াই এখনো বাকি।

2 hours ago
7









English (US) ·