মিয়া নুরুদ্দিন অপুর প্রত্যাবর্তনে শরীয়তপুরে বিএনপির নবজাগরণ
সকাল থেকেই শরীয়তপুরের জাজিরায় মানুষের ঢল। হাতে দলীয় পতাকা, কাঁধে ব্যানার, মুখে স্লোগান—‘তারেক রহমানের দূত অপু ভাইকে স্বাগতম!’ এক সময় জনতার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। দীর্ঘ সাত বছর পর নিজ এলাকায় ফিরলেন বিএনপি নেতা ও শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-গোসাইরহাট-ভেদরগঞ্জ আংশিক) আসনের প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে তার আগমন উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার টিএন্ডটি মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এক জনসমাবেশ ও পথসভা। উচ্ছ্বাসে ভাসে পুরো এলাকা—যেন এক নবজাগরণের দিন।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু বলেন, আজকের এই দিনে আমি শরীয়তপুরবাসীর কাছে অঙ্গীকার করছি—আগামীতে শরীয়তপুরকে আধুনিক, উন্নত শরীয়তপুর হিসেবে গড়ে তুলব।
তার এই ঘোষণায় মুহূর্তেই করতালিতে ফেটে পড়ে জনতা। এরপর তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আহামেদ আসলামকে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, এই দিনটির জন্য আমরা অনেক কিছু সহ্য করেছি—লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, নির্যাতন। কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাইনি। আজ সেই লড়াইয়ের ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখন সময় ঐক্যের, সময় প্রতিরোধের, সময় এগিয়ে যাওয়ার।
পথসভায় দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা বলেন, আজকের এই জনসমাগম প্রমাণ করে—শরীয়তপুরের মাটিতে বিএনপির শেকড় এখনো গভীর।
সমাবেশ শেষে মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু জাজিরার টিএন্ডটি মোড়সহ একাধিক স্থানে গণসংযোগ করেন। প্রতিটি স্থানে মানুষের স্রোত দেখে অনেকেই বলেন—এ যেন শরীয়তপুরে বিএনপির পুনর্জাগরণের বার্তা।
গণসংযোগ চলাকালে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মিয়া নুরুদ্দিন অপু বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে মাঠে থাকতে হবে। ভয় নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি। জনগণের কণ্ঠরোধ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলন চলছে, চলবেই।
স্থানীয় তরুণ কর্মীরা বলেন, আমরা বহুদিন পর আমাদের নেতাকে ফিরে পেয়েছি। অপু ভাইয়ের নেতৃত্বে শরীয়তপুর আবার জেগে উঠবে—এই বিশ্বাস নিয়েই আজ আমরা পথে নেমেছি।
সমাবেশে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে কেবল একটি বার্তাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে—শরীয়তপুরে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছে মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুর প্রত্যাবর্তনে।

11 hours ago
5









English (US) ·