মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘মুসলিম ইন্টারঅ্যাকটিভ’ নামে একটি মুসলিম সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জার্মান সরকার। একইসঙ্গে জার্মানিতে আরও দুটি মুসলিম সংগঠনের অফিস ও সদস্যদের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। এই দুই সংগঠনের নাম ‘জেনারেশন ইসলাম’ ও ‘রিয়েলিটি ইসলাম’। বুধবার (৫ নভেম্বর) হামবুর্গের সাতটি স্থানে, বার্লিনে ও হেসে রাজ্যের ১২টি স্থানে অভিযান চালানো হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠনটি ইহুদি-বিরোধিতা (অ্যান্টিসেমিটিজম) এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ছড়িয়ে সাংবিধানিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
‘মুসলিম ইন্টারঅ্যাকটিভ’ নামের সংগঠনটি তরুণ মুসলিমদের লক্ষ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিল। এছাড়াও ইসলামিক আইনকে জার্মান আইনের ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান জানাত বলে এ সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
জার্মানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ট বলেন, যারা রাস্তায় খেলাফতের আহ্বান জানাবে, ইসরায়েল ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দেবে, কিংবা নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার অস্বীকার করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মুসলিম ইন্টারঅ্যাকটিভ লিঙ্গসমতা ও সমকামিদের স্বাধীনতার বিরোধী। এই অসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
জার্মান সরকার জানিয়েছে, সংগঠনটি যত বেশি সম্ভব তরুণদেরকে মতাদর্শগতভাবে প্রভাবিত করে ‘সংবিধানের স্থায়ী শত্রু’ তৈরি করতে চাইছিল।
স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করতে সংগঠনটির নেতারা অনলাইন ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে মুসলিম সমাজের প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজের অবিচার” দেখানোর চেষ্টা করত।
জার্মান সরকারের এমন পদক্ষেপের পর বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ‘মুসলিম ইন্টারঅ্যাকটিভ’ সংগঠনটির অনলাইন উপস্থিতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সূত্র : অ্যাসোসিয়েট প্রেস
কেএম

12 hours ago
5









English (US) ·