শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় গাজীর সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামকে মারধর করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের হৃদয় গাজী। পরে এ ঘটনার বিচার দাবিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। পরে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের নির্দেশে হৃদয় গাজীকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির কথোপকথন চলছিল। সেসময় পাশেই চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। পরে আমরা জানতে পারলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর শহরের হাজির পাড়া রামবাড়ি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসিন ইখতিদার নিপুনকে মারধর করেন বহিরাগত এক যুবক। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনায় জড়িত বিপ্লব (২১) নামে এক যুবককে আটক করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা অস্থায়ী একাডেমিক ভবনে গেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। পরে রাত ৮টার দিকে তালা খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী একাডেমিক ভবনে ফিরে আসেন। এসময় ফেসবুকে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়টি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চাইতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে কথা হয়। এ সময় অস্থায়ী একাডেমিক ভবনের পাশে জাহিদুল ইসলামকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় বহিরাগত ওই যুবককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এম এ মালেক/এফএ/এমএস

16 hours ago
8









English (US) ·