রাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, মিলেনি ফান্ডের হিসাব

3 hours ago 7
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ক্যাম্পাসের সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং রাকসুর বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়।  মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই সভা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস সালাউদ্দীন আম্মার, এজিএস এস এম সালমান সাব্বিরসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যসহ রাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। সভাশেষে রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা গুলো মাস ভিত্তিক সাজিয়েছি। আজকের অধিবেশনে এ মাসের বাস্তবায়নযোগ্য বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ে কাজগুলো শুরু করবো। বিভাগ ভিত্তিক প্রত্যেক সম্পাদক তার কাজগুলো শুরু করলে যে ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল সে ইশতেহার অনুযায়ী কাজ হবে।  তিনি আরও বলেন, আমরা আশাকরি, কাজগুলো প্রতিমাসে বাস্তবায়িত হোক এবং সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে কোনো বাধা না থাকুক। আমরা বাজেটের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ স্যারের সাথে আলোচনা করেছি। সকল বাজেট রাকসু বা প্রশাসন থেকে নেওয়া হবে এমন না। বিভিন্ন মাধ্যম বা দাতা সংস্থার থেকে আমরা নিয়ে আসতে পারবো। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দরভাবে সাজাতে এবং পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাবো। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, আজ রাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে রাকসুর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকল সম্পাদকীয় পদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রাকসু প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, যার দৃশ্যমান ফলাফল খুব শিগগিরই আমাদের শিক্ষার্থীরা দেখতে পাবে। তিনি আরও বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই সভায় নানা বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। সব সম্পাদকীয় শাখার জন্য কিছু কিছু কাজের পরিমান প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত কাজ নির্ধারিত হয়নি। আমরা পরবর্তী অধিবেশনে বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় বসব এবং পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেব। রাকসুর ফান্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, রাকসুর নিজস্ব একটি ফান্ড রয়েছে। তবে প্রায় ৩৫ বছর পর রাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই দীর্ঘ সময়ের ফান্ড সংক্রান্ত তথ্য ও হিসাব আমরা এখনো পুরোপুরি সংগ্রহ করতে পারিনি। ২০১৩ সালের পর থেকে রাকসুর অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি বছরের হিসাব নিরূপণের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা দ্রুতই এই তথ্য সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করবে।
Read Entire Article