আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রাজবাড়ী-১ (রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ) আসনের সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের নাম ঘোষণা করা হলেও রাজবাড়ী-২ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি। এছাড়াও তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান।
পদ্মা বিধৌত ও রেলের শহর রাজবাড়ী। ১৯৮৪ সালে গোয়ালন্দ মহকুমা থেকে রাজবাড়ী জেলার নামকরণ হয়। রাজবাড়ী-১ সংসদীয় আসন রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৩, নারী ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ১০ জন।
১৯৯১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই আসনে বিএনপি মাত্র একবার, ২০০১ সালে ক্ষমতায় ছিল। বাকী সময়ে আওয়ামী লীগ এই আসনে প্রভাব বিস্তার করেছে।
জানা গেছে, ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আক্কাস আলী মিয়া ও ১৯৮৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মুন্সী আবদুল লতিফ রাজবাড়ী-১ আসনে জয়লাভ করেন। এরপর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী চৌধুরী জয়ী হন। তার মৃত্যুর পর ১৯৯২ সালের উপ-নির্বাচনে এমপি হন আওয়ামী লীগের কাজী কেরামত আলী। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির জাহানারা বেগম ও ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাজী কেরামত আলী জয় পান। ২০০১ সালে এই আসনে এমপি হন বিএনপির আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। এরপরই এই আসন চলে যায় আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০৮ সালে বিএনপির আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মকে পরাজিত করে এমপি হন আওয়ামী লীগের কাজী কেরামত আলী। এরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।
রাজবাড়ী-১ আসনে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী রাজবাড়ী জেলা আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামকে এবং খেলাফত মজলিস তাদের জেলা শাখার আমির মাওলানা ইলিয়াছ মোল্লাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে রাজবাড়ী-২ সংসদীয় আসন পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫১ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৯ জন, নারী ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৫৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫ জন।
এ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামী ও ২০০১ সালে বিএনপি বিজয়ী হলেও দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী রাজবাড়ী জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ এবং খেলাফত মজলিসের জেলা সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিলকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
রুবেলুর রহমান/এফএ/জেআইএম

21 hours ago
4









English (US) ·