‘রৌমারীর যখন একটা অংশ ভাঙে, আমার অস্তিত্ব ভাঙে’
সারাদেশ
মারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 2025-11-05নদী গবেষক ও রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন বলেছেন, ‘আমরা রৌমারীর সন্তান, রৌমারীর যখন একটা অংশ ভাঙে, আমার অস্তিত্ব ভাঙে। রৌমারী মানুষ যখন গৃহহীন হয়, আমার ভাই গৃহহীন হয়, রৌমারীর মানুষ যখন বাস্তুচ্যুত হয়, তখন আমার চাচা বাস্তুচ্যুত হয়।’ মঙ্গলবার দুপুরে রৌমারী উপজেলা চরশৌলমারী ইউনিয়নের চর গেন্দার আলগা এলাকার ব্রহ্মপুত্রপারে এক গণজমায়েতে এসব কথা বলেন তিনি। ‘ব্রহ্মপুত্র নদের বাম তীরের ভাঙন রোধ ও টেকসই নদী ব্যবস্থাপনার’ দাবিতে এই গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করেন নদী সংগঠক মহিউদ্দিন আহমেদ মহির।
শেখ রোকন বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক নই, যে আমরা ভাঙনের কথা বলে আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব। আমরা কোনো ঠিকাদার নই, যে ভাঙনের কথা বলে প্রকল্প এনে আমরা ঠিকাদারি করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যদি না পারি, আমাদের গালি দিয়েন না। দোয়া করেন, আমরা যেন এখন না করতে পারলেও পরে ভাঙন রোধ করতে পারি।”
গণজমায়েতে বক্তব্যকালে রিভারাইন পিপলের পরিচালক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিন লাখ কোটি টাকার ৩০০ ভাগের এক ভাগ টাকা দিলে আমাদের ব্রহ্মপুত্রের বাম তীরের একটি বাড়ি ভাঙতো না। এই যে বাড়ি ভাঙে এটা কোনো প্রাকৃতিক কারণ নয়। এটি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যুরো পরিসংখ্যান বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একা দারিদ্র মানচিত্র তৈরি করা ছিল, সেখানে ৬৫ শতাংশ গরিব মানুষ বাস করেন কুড়িগ্রামে। আর তিন শতাংশ মানুষ বাস করেন কুষ্টিয়ায়। ৫ বছর পর আবার এটা জরিপ হয়েছে এই জরিপে দেখা গেল সব চেয়ে কম গরিব মানুষ বাস করেন নারায়নগঞ্জে দুই শতাংশ। সারাদেশে গরিবের সংখ্যা কমেছে সাত শতাংশ। আর কুড়িগ্রামে গরিব মানুষ বেড়েছে আট শতাংশ। এই এক ব্যর্থ রাষ্ট্র। সারাদেশে যখন গরিব মানুষ কমে এই কুড়িগ্রামে গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়ে।
গণজমায়েতে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানী। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও নদী তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ। গণজমায়েত সঞ্চালনা করেন আক্তারুজ্জামান আক্তার।
© Samakal
1 day ago
1









English (US) ·