শাবিপ্রবিতে নিরাপত্তাকর্মী বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

14 hours ago 4

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক নিরাপত্তাকর্মীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘যমুনা স্টার সেফ গার্ড সার্ভিসের’ শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী।

বহিষ্কৃত নিরাপত্তাকর্মী মো. জায়েদ আহমেদ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

রোববার (২ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বহিষ্কৃত নিরাপত্তাকর্মী মো. জায়েদ আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মীরা।

মো. জায়েদ আহমেদ বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে যমুনা স্টার কোম্পানি এখানে কাজ পরিচালনা করছে। আগের সুপারভাইজার সাঈফ স্যার এবং সিকিউরিটি অফিসার নিরাপত্তাকর্মীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিতেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত কমিটিতে জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো বিচার পাইনি। বর্তমান প্রশাসন আসার পর তদন্ত কমিটি গঠন হয়, আর তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে বহিষ্কার করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আমি নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত ছিলাম এবং সাঈফ স্যারকে মারধর করেছি। কিন্তু আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো নিয়োগ দিইনি, সব নিয়োগ হয়েছে প্রশাসনের মাধ্যমে। সাঈফ স্যারের সময় অনেকেই টাকা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন যার প্রমাণও রয়েছে।’

মারধরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাঈফ স্যারের নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে অনেক নিরাপত্তাকর্মী ক্ষিপ্ত হয়ে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের সামনে তার গায়ে হাত তুলেছিলেন। পরে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করাও হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রশাসন তাকে ফের নিয়োগ দিয়েছে, আর তার পরপরই আমাকে বহিষ্কার করা হয়।’

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, আমাদের জানানো হয়েছে ডিসেম্বর মাসে নতুন কোম্পানি আসবে। নতুন কোম্পানি আসলে নিরাপত্তাকর্মীদের ফের নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়, আর তখন স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়। আমরা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।

পাশাপাশি জায়েদ আহমেদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না হলে ৪৮ ঘণ্টা পর কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় ‘যমুনা স্টার সেফ গার্ড সার্ভিস লিমিটেড’র সুপারভাইজার মো. জায়েদ আহমেদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে কোম্পানিকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পদে (স্থায়ী, অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক বা আউটসোর্সিং) নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

এসএইচ জাহিদ/এনএইচআর/এমএস

Read Entire Article