শীতের আগে ফাটা ঠোঁটের সহজ ঘরোয়া সমাধান

2 days ago 6

শীতের আগমনের আগেই অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যাচ্ছে, রংও কালচে হয়ে উঠছে। আবহাওয়ার বদলের প্রভাব ত্বকে পড়লেও সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি দেখা যায় ঠোঁটে। অনেকেই অজান্তেই বারবার জিভ ঠোঁটে বুলিয়ে নেন, এতে ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে যায়। ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করেও অনেক সময় ঠিকমতো কাজ হয় না।

এ ধরনের সমস্যা দূর করতে চাইলে ঘরেই কিছু সহজ উপায় মেনে চলা যেতে পারে। নিয়মিত যত্নে ঠোঁটের শুষ্কতা কমে, চামড়া নরম হয় এবং ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ধীরে ধীরে ফিরে আসে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া কোন কোন উপাদান ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা দূর হবে-

১. মধু
মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে দারুণ কাজ করে। এটি ঠোঁটে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ফাটা ঠোঁট দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে হালকা করে মধু লাগিয়ে রাখলে ঠোঁট নরম হয় ও ফাটার সমস্যা কমে যায়। চাইলে অল্প মধু, লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে হালকা ম্যাসাজও করতে পারেন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে যাবে এবং ঠোঁট হবে নরম ও উজ্জ্বল।

২. ঘি ও নারিকেল তেল
ঘি ও নারিকেল তেল ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার একটি সহজ ও কার্যকর ঘরোয়া উপায়। সমপরিমাণ ঘি এবং নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি ছোট পাত্রে রেখে দিন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ফাটা ঠোঁট দ্রুত ঠিক হয়, ঠোঁট নরম ও আর্দ্র থাকে। ঘি তে থাকা ভিটামিন ‘ই’ ও ‘কে’ ঠোঁটের ত্বক পুষ্ট করে। ফলে ঠোঁট হয় আরও উজ্জ্বল ও সুস্থ।

৩. তাজা অ্যালোভেরা জেল
তাজা অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটের যত্নে দারুণ কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ঠোঁটকে ঠান্ডা অনুভূতি দেয়। অ্যালোভেরা পাতার ভেতরের জেল বের করে একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে দিন। রাতে ঘুমানোর আগে সেই জেল ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ফাটা ঠোঁট দ্রুত ঠিক হবে, ঠোঁট নরম ও মসৃণ থাকবে। এছাড়া রোদে পুড়ে ঠোঁট কালচে হয়ে গেলে অ্যালোভেরা তা সারাতেও সাহায্য করে।

৪. কাঠবাদামের তেল
কাঠবাদামের তেল ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর, যা ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে হালকা করে বাদাম তেল লাগিয়ে নিলেই ফাটা ঠোঁট নরম হয়ে যায় এবং শুষ্কতা কমে। চাইলে পুরো মুখেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন, এতে ত্বক পুষ্টি পায় ও উজ্জ্বল হয়। নিয়মিত ব্যবহারেই ঠোঁট আবার স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে।

৫. দুধ
দুধ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন ঠোঁটে কাঁচা দুধ লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ঠোঁট নরম ও উজ্জ্বল হয়। চাইলে দুধের সঙ্গে টাটকা গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। দিনে অন্তত তিনবার এই পেস্ট ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট আরও কোমল ও মসৃণ হবে।

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস

আরও পড়ুন
সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে কী হয় জানেন?
ত্বকের উজ্জ্বলতায় ডিমের জাদুকরী ভূমিকা

এসএকেওয়াই/এএসএম

Read Entire Article