পাকিস্তানের সেনেটে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী বিল নিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। এই সংশোধনীর লক্ষ্য দেশের সেনাবাহিনী ও বিচারব্যবস্থায় বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনা।
বিরোধীদলীয় সদস্যরা তীব্র বিক্ষোভ জানিয়ে বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলেন।
তাদের প্রতিবাদকে অপ্রয়োজনীয় বলে আখ্যা দেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার, যিনি বিলটি উপস্থাপন করেন।
এর আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনেটর ফারুক এইচ. নাঈক যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যা ফেডারেল মন্ত্রিসভা অনুমোদিত খসড়ায় কিছু সংশোধন যোগ করেছে।
নাঈক বলেন, কমিটি খসড়াটিতে কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে। কিছু টেক্সটে পরিবর্তন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে সরকার ২৭তম সংশোধনী বিল সিনেটে উপস্থাপন করে, যাতে বিচারব্যবস্থা ও সামরিক নেতৃত্বের কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে সেই সময়ও বিরোধীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
সংশোধনীর মূল দিকগুলো: নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ তৈরি করা হবে, যিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হবেন। বর্তমান চিফ অব আর্মি স্টাফ এই পদে দায়িত্ব নেবেন।
তাছাড়া ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব এয়ার ফোর্স এবং অ্যাডমিরাল অব ফ্লিট উপাধিগুলো আজীবনের জন্য বহাল থাকবে। একটি ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট গঠন করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিচারপতি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা হ্রাস করা হবে এবং নতুন সংবিধানিক আদালতে হস্তান্তর করা হবে।
বিলটি উপস্থাপনের পর এটি সিনেট ও জাতীয় পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত যৌথ আইন কমিটিতে পাঠানো হয়। তবে বিরোধী দলগুলো সেই বৈঠক বর্জন করে।
নাঈক তার বক্তৃতায় বলেন, সংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠা এই সংশোধনীর মূল লক্ষ্য। কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে এই আদালত গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে, যদিও কিছু সংশোধন যোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সংবিধানিক আদালতে সব প্রাদেশিক আদালতের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। উচ্চ আদালত থেকেও একজন বিচারপতি মনোনীত হবেন এবং যোগ্যতার মেয়াদ ৭ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।
চলমান অধিবেশনে বিরোধীরা সরকারের এই সংশোধনীকে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ করেছে, অন্যদিকে সরকার বলছে এটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর সমন্বয় ও স্বচ্ছতা আনতে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
সূত্র: জিও নিউজ
এমএসএম

2 hours ago
4









English (US) ·