সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য গ্রাহকের নামে থাকা সঞ্চয়পত্র ভেঙে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জালিয়াতি ঠেকাতেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে গত পরশু একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এক গ্রাহক ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনেন। ওই গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখায়। কিন্তু মাত্র চারদিন পর, গত সোমবার ওই সঞ্চয়পত্র ভাঙানো হয় এবং টাকা স্থানান্তর করা হয় এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। পরে সেই টাকা একই দিনে ব্যাংকটির শ্যামলী শাখা থেকে তুলে নেওয়া হয়।
একই পদ্ধতিতে একই দিনে আরও দুটি সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়—যার একটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকার, অন্যটি এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসায় ওই দুটি জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হয়।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকা। এসব সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ভাঙানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিসের প্রায় ১২ হাজার শাখা থেকে।
তবে এখন পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকেই এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা শনাক্ত হয়েছে। অন্য কোনো শাখা বা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
সঞ্চয়পত্রের সার্ভার পরিচালনা করে অর্থ মন্ত্রণালয়। চিহ্নিত এ প্রতারণাগুলো সার্ভার হ্যাকের মাধ্যমে করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।
ইএআর/এমকেআর/জিকেএস

 2 days ago
                        10
                        2 days ago
                        10
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·