সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতলো পাকিস্তান

3 hours ago 5

হাতে ৬ উইকেট। ২৭ বলে দরকার মাত্র ২৩ রান। ক্রিজে দুই সেট ব্যাটার সালমান আগা ও হুসেইন তালাত। এই ম্যাচটা তো হেসেখেলেই জেতার কথা ছিল পাকিস্তানের। সেটা হলো না।

লুঙ্গি এনগিডি জুটি ভাঙতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামলো। জয়ের সম্ভাবনা জাগালো দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তজার্তিক ক্রিকেট ফেরার ম্যাচে পাকিস্তানই হেসেছে শেষ হাসি।

দারুণ উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ২ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখে। এ জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা।

এ ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদির। ৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচসেরা হয়েছেন ৬২ রানের ইনিংস খেলা সালমান আগা।

রান তাড়ায় ওপেনিংয়ে দারুণ সূচনা দেন সাইম আইয়ুব আর ফখর জামান। ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। সাইম ৩৯ আর ফখর করেন ৪৫। বাবর আজম ফেরেন ৭ করেই। এরপর মিডলঅর্ডারে হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান আর সালমান। রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান।

এর আগে ফয়সালাবাদাদে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। দারুণ শুরু করে প্রোটিয়ারা। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৮ রান তোলেন লোয়ান দ্রে-প্রিটোরিয়াস আর কুইন্টন ডি কক। দুজনই করেন হাফসেঞ্চুরি। ১৭তম ওভারেই ১০০ পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রিটোরিয়াস ৫৭ করে সাইম আইয়ুবের শিকার হন। নাসিম শাহর বলে বোল্ড হওয়ার আগে কুইন্টন ডি কক করেন ৬৩। এরপরই দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান।

৩ উইকেটে ১৯১ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানে অলআউট হয়। অধিনায়ক ম্যাথিউ ব্রিটজকে ৪১ করলেও একটা সময় ৮ উইকেটে ২২৮ রানে পরিণত হয়েছিল প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে দলকে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে যান করবিন বসচ। আট নম্বরে নেমে ৪০ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

নাসিম শাহ ও আবরার আহমেদ নেন তিনটি করে উইকেট।

এমএমআর/এমএস

Read Entire Article