সারাদেশে জুলাই যোদ্ধারা নিরাপত্তা সংকটে রয়েছে: নাহিদ ইসলাম

4 hours ago 7

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই শহীদ গাজী সালাউদ্দিন মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা তিনি হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এতেই বুঝা যায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব জুলাই যোদ্ধা রয়েছেন তাদের সবারই নিরাপত্তা সংকট রয়েছে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার নিহত জুলাই যোদ্ধা সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি জুলাই যোদ্ধাদের পাশে আছে। তবে শুধু আমরাই নই সরকার ও সব রাজনৈতিক দলের এ দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। কারণ এই মানুষগুলোর লড়াইয়ের ফলেই আমরা সফল হয়েছিলাম ও ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছি।

তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে সেটা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্যই এখনো লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ও শহীদের সংখ্যাও বাড়ছে। গাজী সালাউদ্দিন ভাইও তাদের একজন। আমরা তাকে হারিয়েছি। সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমাদের যেসব আহত যোদ্ধা রয়েছেন, এখনো যারা কাতরাচ্ছেন, তাদের সর্বাত্মক চিকিৎসা যতটুকু দেওয়ার সেটুকু যেন দেওয়া হয়। শুধু সাময়িক চিকিৎসাই নয় দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এখন যেহেতু নির্বাচনি ঢাকঢোল বাজছে, এতে যেন আমরা আমাদের আহত ও শহীদ ভাইদের ভুলে না যাই। তাহলে সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো আরও অনেকে মৃত্যুবরণ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের যে স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলা হয়েছে সেটাতেও অনেক অভিযোগ আছে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি ও আমাদের ৩০০ আসনই লক্ষ্য। তবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরা ওইসব আসনে প্রার্থী দেবো না। এছাড়া আমরা সব আসনেই শাপলা কলি মার্কার প্রার্থী দেবো।

 নাহিদ ইসলাম

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান করেছি যে, যারা গডফাদারগিরি করে তারাই নির্বাচনে দাঁড়ায়, এই সংস্কৃতিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। একজন এলাকার সাধারণ মানুষ, গ্রহণযোগ্য মানুষ, যাকে মানুষ কাছে পাবে ও শিক্ষকদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।

বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের করব জিয়ারত করেন। এসময় এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি তুহিন খান প্রমুখ তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে এক চোখের দৃষ্টি হারান নিহত সালাউদ্দিন। এছাড়াও গুলির আঘাতে অপর চোখেও ঝাপসা দেখার পাশাপাশি গলায় লাগা গুলিতে শ্বাসনালির সমস্যা দেখা দেয়। গুলিবিদ্ধ হবার পর হতে ১৫ মাস ধরে চিকিৎসা নিয়ে গেলে সবশেষে ২৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।

মো. আকাশ/এমএন/জিকেএস

Read Entire Article