নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার অসংখ্য কৃষকের মধ্যে আবু তাহের (৩২) একজন। তিনি বছরব্যাপী বিভিন্ন রকমের ফসল চাষাবাদ করেন। এ বছর বেশি লাভের আশায় পেঁপে চাষের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এতে সাফল্যের মুখও দেখেছেন। বাগানে আশানুরূপ ফলনে মুখে হাসি ফুটেছে তার।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের কৃষক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের ছেলে আবু তাহের। বাবার দেখাদেখি তিনিও কৃষিকাজে আগ্রহী হয়ে সফলতার মুখ দেখেছেন। এবার ইউনিয়নের হাড়িয়া চৌধুরীপাড়া এলাকায় ১৮০ শতাংশ জমির ওপর তিন জাতের পেঁপে চাষ করেছেন। নিজের ফল বাগানই বর্তমানে তার মনোযোগের অন্যতম জায়গা। বাগান দেখভালে নিজের পাশাপাশি কর্মচারীও রেখেছেন।

তার বাগানে হাইব্রিড, দেশি ও কালি জাতের পেঁপে চাষ করেন। ফসলে মেটে, জৈব ও সাদা সার দিয়ে থাকেন। গাছ রোপণ থেকে শুরু করে দেখভাল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে ৫০০ টাকা মজুরিতে নিয়মিত তিনজন মানুষ কাজ করেন।
আবু তাহের জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এক বছর ধরে ১৮০ শতাংশ জমিতে এই ফসল চাষ করছি। এখন পর্যন্ত আমার ২ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আরও ৫০ হাজারের মতো ব্যয় হবে। পেঁপে অন্তত ৫ লাখে বিক্রি করতে পারবো বলে আশাবাদী। পেঁপে মূলত ৬ মাসের মধ্যে উত্তোলন করা সম্ভব। আমার বাগানে আরও তিনজন নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন
পাকুন্দিয়ায় গাছ আলু চাষে বদলাচ্ছে কৃষকের জীবন
গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা
উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষক আবু তাহের বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কর্মকর্তারা এসে সার ব্যবহারের নিয়মসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।’

বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত মোহাম্মদ মোজাফফর বলেন, ‘আমরা গত দুবছর ধরে এখানে কাজ করে যাচ্ছি। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছি।’
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমাদের কর্মকর্তারা ঘুরে ঘুরে সমস্যাগুলো খেয়াল করেন।’
মো. আকাশ/এসইউ/এএসএম

2 weeks ago
15









English (US) ·