চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মনোনয়ন না পাওয়ায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পর রেললাইন অবরোধ করেছেন বঞ্চিত প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এতে সীতাকুণ্ড স্টেশনে আটকা পড়ে চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী চট্টলা এক্সপ্রেসসহ দুটি ট্রেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) উপ-পরিদর্শক আশরাফ ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, রেললাইনে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভের খবর শুনে সীতাকুণ্ড স্টেশনমাস্টার চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড় করান। রাত ১০টার সময়ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সীতাকুণ্ড স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। রেললাইন নিরাপদ হলে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, বিক্ষুব্ধ কিছু লোকজন রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ভাটিয়ারী স্টেশন এলাকায় রেললাইনের ওপর পুরোনো কাঠের স্লিপার এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঠের স্লিপারগুলো স্টেশন এলাকায় রাখা ছিল। এ সময় তারা রেললাইনের ওপর বিক্ষোভ করতে থাকেন। ওই সময় চট্টগ্রামমুখী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এবার বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। এ আসনের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আসলাম চৌধুরী।
আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন না পাওয়ার খবরটি সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীতাকুণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তার বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত ৩০ স্থানে অবরোধ করেন। নেতাকর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে এমন অবস্থা ছিল। হঠাৎ মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র ভোগান্তি দেখা দেয়।
এমএমডি/এএমএ

                        7 hours ago
                        7
                    








                        English (US)  ·