বগুড়ার শিবগঞ্জে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাসুদ রানা নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন।
রোববার (১১ মে) বিকেলে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ রানা সৈয়দপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত হোসেনের ছেলে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান শাহীন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশের এক শতক জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে নিহত মাসুদ রানার সঙ্গে মতিয়ার রহমান মতিনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার বিকেলে আমিন ডেকে ওই জায়গা সালিশের মাধ্যমে মাপ দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করে উভয়পক্ষ। তবে মীমাংসা না হওয়ায় মতিয়ার তার অনুসারীদের নিয়ে বিকেলে ৪টার দিকে মাসুদ রানা ও তার বাড়ির বাকি সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদ, তার মা মনোয়ারা বেগম, বোন শেফালী ও চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা আরও জানান, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মাসুদ মারা যান। মারা যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার (১২ মে) সকালে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্ত মতিয়ার ও ইয়াকুবের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
নিহত মাসুদ রানার স্ত্রী মাকসুদা বেগম বলেন, আমরা অসহায় গরিব মানুষ। আমাদের বাড়ির পাশে কয়েকটি আম গাছ আছে। আব্দুল মতিন প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমাদের গাছ জোরপূর্বক তুলে ফেলে প্রাচীর নির্মাণ করতে চান। আমরা তার কাজে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শিবগঞ্জ থানা ওসি শাহিনুজ্জামান শাহীন বলেন, এ ঘটনায় ইসমত আরা বাদী হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানান পর থেকেই আমি, ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

5 months ago
36









English (US) ·