সামরিক হামলার হুমকির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ টিনুবু। তার এক সহকারী রোববার (২ নভেম্বর) এই তথ্য জানান।
এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টিনুবুর ওই সহকারী বলেন, ট্রাম্প সম্প্রতি নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে জিহাদিদের হুমকির অভিযোগ তুলে দেশটিতে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিস্ফোরক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি পেন্টাগনকে নাইজেরিয়ায় সামরিক হামলার সম্ভাব্য পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর একদিন আগে ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান ধর্ম অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
প্রায় সমান মুসলিম ও খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত নাইজেরিয়া বর্তমানে বহু সংঘাতের মধ্যে জড়িয়ে আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব সহিংসতায় ধর্ম নির্বিশেষে মুসলিম ও খ্রিষ্টান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই প্রাণ হারাচ্ছেন।
ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, যদি নাইজেরিয়া এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে ব্যর্থ হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ‘দ্রুত, নির্মম ও কার্যকর’ হামলা চালাবে, ঠিক যেমনভাবে সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রিয় খ্রিষ্টানদের আক্রমণ করে।
ট্রাম্প শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) আরও দাবি করেন, হাজার হাজার খ্রিষ্টান নিহত হচ্ছেন ও এর জন্য দায়ী উগ্র ইসলামপন্থিরা। তবে তিনি এর কোনো প্রমাণ দেননি।
অন্যদিকে, নাইজেরিয়া সরকার বলেছে, জিহাদি হামলাগুলোতে শুধুমাত্র খ্রিষ্টানদের নয়, বরং সব ধর্মাবলম্বীই আক্রান্ত হচ্ছেন।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট টিনুবু লেখেন, নাইজেরিয়াকে ধর্মীয়ভাবে অসহিষ্ণু রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রিত করা আমাদের জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ সহকারী ড্যানিয়েল বওয়ালা এএফপিকে বলেন, আমরা ট্রাম্পের মন্তব্যগুলোকে সরাসরি আক্রমণের হুমকি হিসেবে দেখছি না। আমরা জানি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব যোগাযোগের ধরন আছে। এটি আসলে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে বৈঠক নিশ্চিত করার একটি কৌশল, যাতে তারা নিরাপত্তা ইস্যুতে যৌথ অবস্থান গড়ে তুলতে পারেন।
বওয়ালা এর আগে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া একটি পোস্টে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, দুই নেতার মধ্যে শিগগিরই বৈঠক হতে পারে।
তিনি লিখেছিলেন, নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসীরা শুধু খ্রিষ্টানদের নাকি সব ধর্মের মানুষকে টার্গেট করছে ও এই বিতর্ক যদি থেকেই থাকে, তা দুই নেতা বৈঠকে সমাধান করবেন। বৈঠকটি নাইজেরিয়ার স্টেট হাউজ বা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজ, যেকোনো এক জায়গায় হতে পারে।
ওয়াশিংটন থেকে ফোনে কথা বলার সময় বওয়ালা সম্ভাব্য বৈঠকের বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ

13 hours ago
9









English (US) ·