হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, এমন প্রতিবেশী দেশ ও বন্ধু চান না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দল আয়োজিত ‘কোরআন-হাদীসের অপব্যাখা ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক বলেন, যেই প্রতিবেশী হাসপাতাল থাকা এরশাদকে বিনা দস্তখতে এমপি করতে পারে এমন বন্ধু চাই না। যে বন্ধু হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা জুলাই-আগস্টের এই বিপ্লবে হাজারো ছাত্র-জনতাকে আহত করে, হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া, সেই হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, এমন প্রতিবেশী দেশ, বন্ধু আমরা চাই না।
তিনি বলেন, পদ্মায় পানি থাকবে না, তিস্তায় পানি পাবো না, ফেলানির লাশ কাটাতারে থাকবে, প্রতিদিন তোমার লোককে পুশ করে ঢুকিয়ে দিবা, আর আমি তোমাকে বন্ধু বলবো? সেই বন্ধু আমার দরকার নেই। যদি সৎ সাহস থাকে, যদি বন্ধু হতে চাও, যদি বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসতে চাও, যদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র চাও, দেরি আর করো না; হাসিনাকে ঠেলে পাঠিয়ে দাও।
জামায়াতের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমরা ১৬ বছর এই মাটিতে, এই রাস্তায় থেকে যুদ্ধ করেছি। আমরা হাসিনার সব অত্যাচার সহ্য করেছি। ১৬ বছরের সাড়ে ১০ বছর জেলে ছিলাম। তাই দয়া করে আমাদের ২০০১ সালের বন্ধুরা দেশকে আর বিভ্রান্তির দিকে নেবেন না।
ফেব্রুয়ারিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী আত্মত্যাগ করেছে। অতএব টালবাহানা আমরা বুঝি। রাজনৈতিক চালও আমরা বুঝি। বয়স তো কম হয়নি। যুদ্ধ তো ৭১ সাল থেকেই শুরু করেছি। তাই আজকে অনুরোধ জানাবো বাংলাদেশ সরকারকে, সোজা পথে চলে আসছেন, এখনো চলেন। ডানে-বামে কোনো জায়গায় যাওয়া যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে নির্বাচন দিতেই হবে।
এমএইচএ/ইএ/জিকেএস

1 week ago
9








English (US) ·