হেমন্তের সকালে কুয়াশার চাদর, শীতের আগমনী বার্তা

7 hours ago 4

মৌসুমের প্রথম কুয়াশার দেখা মিললো রাজশাহীতে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় মোড়ানো ছিল পুরো শহর। ঘাসের ডগায় বিন্দু বিন্দু শিশির ও হালকা হিমেল হাওয়ায় মানুষ বুঝে নিয়েছে শীত এসে গেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকে রাজশাহীর পদ্মার তীর, শহীদ কামারুজ্জামান সড়ক, সিপাইপাড়া, বোয়ালিয়া, লক্ষ্মীপুর, ভদ্রা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গতদিনের তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি কম। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে।

হেমন্তের সকালে কুয়াশার চাদর, শীতের আগমনী বার্তা

কার্যালয়ের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তারেক আজিজ বলেন, ‘এটি মৌসুমের প্রথম সকালের কুয়াশা। মূলত মেঘ সরে যাবার কারণে কুয়াশা পড়ছে। আগামী কয়েকদিন আরও কুয়াশা পড়তে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে কুয়াশার ভিজিবিলিটি ছিল ৪ কিলোমিটার। চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।’

রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, ‘সকালে জানালা খুলে দেখি চারপাশ ধোঁয়াটে। গাছের পাতায় শিশির আর কুয়াশার মিশ্রণটা অসাধারণ লাগে। এতদিনের গরম শেষে এই ঠান্ডা হাওয়া সত্যি প্রশান্তি দিচ্ছে। তাই প্রথম কুয়াশা উপভোগ করতে বাহিরে আসলাম। ভালো লাগছে।’

হেমন্তের সকালে কুয়াশার চাদর, শীতের আগমনী বার্তা

নগরীর ভদ্রা এলাকার দোকান মালিক মুর্দেশ জামান বলেন, ‘ভোর থেকে অন্য দোকানে ক্রেতা কম, কিন্তু চায়ের দোকান জমে উঠেছে। সবাই গরম চা খেতে আসছে। মনে হচ্ছে শীত সত্যিই শুরু হয়ে গেছে।’

পদ্মা নদীর তীরে সকালে হাঁটতে আসা নারগিস বেগম জানান, ‘নদীর ওপরে কুয়াশার সাদা পর্দা ঝুলে ছিল দীর্ঘক্ষণ। সূর্য উঠলেও তার আলো ভেদ করে কুয়াশা কেটে যেতে সময় লাগে।’

সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article