ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরতে লক্ষ্য ১৫০ রানের। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৫ রান তুলেছে টাইগাররা। তানজিদ হাসান তামিম ৩১ আর তাওহিদ হৃদয় ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সোজা ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন সাইফ হাসান। দৌড়ে গিয়ে কভার পয়েন্টে সে ক্যাচ ফেলে দেন ব্রেন্ডন কিং। পরের ওভারে এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদন থেকে বেঁচে যান।
কিন্তু জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাইফ। পরের ওভারে জেসন হোল্ডারকে হাঁকাতে গিয়ে আবার বল আকাশে তুলে দেন। এক্সট্রা কভারে এবার সেই ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি কিং। ১১ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন সাইফ। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লিটন দাস আরও একবার শুরুটা ভালো করেছিলেন। কিন্তু ১০ বলে ২০ করার পর ভুল করে বসেন। রোমারিও শেফার্ডের বলে এগিয়ে খেলতে গেলে টপ এজ হয়ে বল সোজা ওপরে উঠে যায়। কিন্তু রাদারফোর্ড সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। জীবন পান লিটনও।
সাইফের মতো লিটনও জীবন কাজে লাগাতে পারেননি। আকিল হোসেনের বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন। ১৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৩ করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এর আগে একটা সময় মনে হচ্ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দুইশর ঘরে গিয়ে ঠেকবে। ১১ ওভার শেষে ১ উইকেটেই ছিল ১০৬। সেখান থেকে দারুণভাবে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন রিশাদ-নাসুমরা। ফলে দেড়শও করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৯ উইকেটে ১৪৯ রানে থেমেছে তারা।
টস হেরে বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন তানজিম হাসান সাকিব। ব্রেন্ডন কিংয়ের খোঁচা মারা বল ডাইভ দিয়ে হাতেই পেয়েছিলেন উইকটেরক্ষক লিটন দাস।
কিন্তু বাংলাদেশ দলপতি সেই ক্যাচ ফেলে দেন। ফলে প্রথম ওভারে বেঁচে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ওভারে সাকিব দেন মাত্র ১ রান।
তবে কিং জীবন পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারে এসেই আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। মিডঅফে তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ হন কিং (১)। দলীয় ১ রানে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিন্তু এরপর অলিক আথানাজে আর শাই হোপ চড়ে বসেন। চার-ছক্কায় মাঠ গরম করতে থাকেন তারা। দুজনই ফিফটি করেন ৩০ বলে। ৫৯ বলে ১০৫ রানের বড় জুটি গড়ে অবশেষে নাসুম আহমেদের শিকার হন আথানাজে।
ইনিংসের ১২তম ওভারে জোড়া শিকার করেন নাসুম। ৩৩ বলে ৫২ করা আথানেজে স্লগ সুইপ করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরের বলে নাসুম বোল্ড করেন নতুন ব্যাটার শেরফান রাদারফোর্ডকে (০)।
এরপর মোস্তাফিজুর রহমান তুলে নেন হাফসেঞ্চুরিয়ান হোপকে। তার অফকাটারে বিভ্রান্ত হয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন হোপ। ৩৬ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান।
ভয়ংকর রভম্যান পাওয়েলকে ঘূর্ণিতে আটকান রিশাদ হোসেন। পাওয়েলের ব্যাটে লেগে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে উঠে যায় ক্যাচ। ৯ বলে পাওয়েল করেন ৩ রান। জেসন হোল্ডারকে ৪ রানে ফেরান রিশাদ।
১ উইকেটে ছিল ১০৬ রান। সেখান থেকে ১২ রানের মধ্যে আরও ৫ উইকেট তুলে নেন রিশাদ-নাসুমরা। ১১৮ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারায় ৬ উইকেট।
সেখান থেকে ক্যারিবীয়রা দেড়শর কাছাকাছি গেছে রোমারিও শেফার্ডের ১৬ বলে ১৩ আর রস্টন চেজের ১৫ বলে অপরাজিত ১৭ রানে।
মোস্তাফিজ শেষ ওভারে দুইটিসহ ২১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট পান রিশাদ হোসেন আর নাসুম আহমেদ।
এমএমআর

 1 day ago
                        10
                        1 day ago
                        10
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·