দুই বছর ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে গাজা উপত্যকার পুরো এলাকা ‘উন্মুক্ত মাইনফিল্ড’ এ পরিণত হয়েছে। গাজার ভূমি থেকে এসব অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ সরাতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ বছর সময় লাগতে পারে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন গাজাকে একটি ‘ভয়াবহ, অচিহ্নিত মাইনফিল্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া বোমা বিস্ফোরণের কারণে ৫৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ অবিস্ফোরিত বোমা সরানোর কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। রাফা ক্রসিংসহ অন্য দুটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ধবংসস্তূপ সরাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।
হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশনের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ নিক ওর বলেন, সম্পূর্ণভাবে গাজা পরিষ্কার করা অসম্ভব। অনেক বোমা ভূগর্ভে রয়ে যাবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এসব বিস্ফোরক পাওয়া যাবে। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এসব বিস্ফোরক সরাতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ বছর সময় লাগবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আপাতত হাসপাতাল এবং গুরত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ও স্থাপনায় অবিস্ফোরিত বোমা শনাক্তের কাজ আগামী সপ্তাহে শুরু করা হবে।
এদিকে গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বেশি লাগবে বলে জাতিসংঘের পরিকল্পনায় উঠে এসেছে। গাজায় বর্তমানে ৫৫০ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ রয়েছে যা সরাতে অন্তত ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। বেসরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এ অর্থের যোগান দেবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সুত্র : দ্য আরব নিউজ
কেএম

2 weeks ago
16









English (US) ·