কেশবপুর আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে চান শ্রাবণ

1 day ago 10
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বলেছেন, ‘কেশবপুর আসনটি দীর্ঘদিন ধানের শীষের ছিল না। আমি জনগণের ভোটে এ আসন পুনরুদ্ধার করে বিএনপিকে উপহার দিতে চাই।’ জানা যায়, পারিবারিক ভিন্ন ধারার রাজনীতি করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে বাড়ি ছাড়া কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত বিএনপি। তিনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।  রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মেঝ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, তার আরেক ভাই কাজী আজারুল ইসলাম মানিক থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আরও পড়ুন : বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হয়ে যা বললেন ডা. প্রিয়াংকা দীর্ঘদিনের পারিবারিক রাজনৈতিক চর্চার বিপরীতে গিয়ে তিনি যোগ দেন বিএনপির রাজনীতিতে। আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিএনপির রাজনীতি করার বিষয়টি শ্রাবণের বাবাও ভালোভাবে নেননি। এ কারণে ছেলের সঙ্গে ছিন্ন করেছেন সম্পর্ক। ছাত্রদল করার কারণে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে শ্রাবণের পরিবার যোগাযোগ রাখেনি তার সঙ্গে। শ্রাবণও দীর্ঘদিন বাড়িতে যাননি। এমনকি পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানেও অংশ নেন না তিনি। গত ২০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মভূমি যশোরের কেশবপুরে আসেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর নিজ উপজেলায় আসার খবরে মোড়ে মোড়ে ফুল নিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। তার এই বহরে কেশবপুর থেকে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল ও শতাধিক মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। কর্মসূচি থেকে তিনি যশোর-৬ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে ঘোষণা দেন। গত ৩ নভেম্বর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে যেসব প্রার্থীর নাম বিএনপি ঘোষণা করেছে, তাতে কাজী রওনকুল ইসলামের (শ্রাবণ) নামটি তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে।  মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় রওনকুল ইসলাম বলেন, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দল আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, তার প্রতিদান দিয়ে যেন জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি, সেটাই হবে আমার প্রধান কাজ।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফায় তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ঘোষণা আছে। আমি নির্বাচিত হলে বিশেষ করে কেশবপুরের তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে আমি কাজ করব। তরুণদের মাদক থেকে সরিয়ে কীভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার দিকে নেওয়া যায়, তাদের ক্যারিয়ারকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেসব বিষয়ে আমি কাজ করব। পাশাপাশি দলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করব।’ শ্রাবণ কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর করেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে সান্ধ্য কোর্সে (স্নাতকোত্তর) অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০২২ সালে ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য এর দুই মাসের মাথায় তাকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
Read Entire Article