‘চ্যাম্পিয়ন’ পিএসজিকে হারিয়ে বায়ার্নের টানা ১৬ জয়
প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সে আবারও বাজল বায়ার্ন মিউনিখের জয়ধ্বনি। লুইস দিয়াজের দুর্দান্ত জোড়া গোল, মানুয়েল নয়্যারের দৃঢ় সেভ আর রক্ষণের দেয়াল টিকিয়ে রাখা সাহসিকতা—সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপে নিজেদের ‘রাজত্বের বার্তা’ দিল জার্মান জায়ান্টরা। আর সেই সাথে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৬ ম্যাচ জয়ের দুর্দান্ত রেকর্ড গড়ল ব্যাভারিয়ানরা।
মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) রাতে যেন বায়ার্নের জন্য ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। পার্ক দে প্রিন্সে পরপর চতুর্থবার জয়, আর টানা ১৬ ম্যাচে জয়ের রেকর্ড—সব মিলিয়ে কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির দল এখন ইউরোপের সবচেয়ে ভয়ংকর নামগুলোর একটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই বায়ার্নের ছন্দে ছিল আগুন। মাত্র তিন মিনিটেই দেম্বেলে বল হারালে বিদ্যুতগতিতে পাল্টা আক্রমণে ওঠে অতিথিরা। ওলিসের শট ঠেকান পিএসজি গোলরক্ষক শেভালিয়ে, কিন্তু ফিরতি বলে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন দিয়াজ। ১-০—আরও একবার অচল লেগে যায় প্যারিসের স্টেডিয়াম।
পিএসজির রক্ষণভাগে বিপর্যয় থামেনি এখানেই। আপামেকানো-টাহ জুটি আকাশে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেন, ফলে লুইস এনরিকের দলকে বারবার লং বল খেলতে হয়। ২২ মিনিটে দেম্বেলেকে দিয়ে সমতা ফেরানোর গোল পেলেও অফসাইডের পতাকায় তা বাতিল হয়। এর ঠিক তিন মিনিট পরই ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন ফরাসি তারকাটি, কাঁধে তুলে নেন উরুর চোটের ব্যথা।
দলের জন্য যেন একের পর এক দুঃসংবাদ। গোল মিস করেন বারকোলা, আর প্রতিআক্রমণে দারুণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দিয়াজ দ্বিতীয়বারের মতো জালে জড়িয়ে দেন বল (৩১ মিনিট)। মারকিনিয়োসের ভুলে বল কাড়ার পর নিখুঁত ফিনিশে তিনি করেন জোড়া গোল, বায়ার্ন এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তেই নাটকীয়তা। এক চ্যালেঞ্জে হাকিমির গায়ে বুট লাগিয়ে লাল কার্ড দেখেন দিয়াজ—দুই গোলের নায়কই হয়ে পড়েন ভিলেন। দশ জনে পরিণত হয় বায়ার্ন, হাকিমি চোখের জল ফেলতে ফেলতে মাঠ ছাড়েন।
দ্বিতীয়ার্ধে একাদশে পরিবর্তন এনে কৌশল পাল্টান দুই কোচই। এনরিকের পিএসজি বল দখলে আধিপত্য জমালেও, বায়ার্ন তখন রক্ষণে শক্ত দেয়াল তুলে দেয়। নুনো মেন্দেস ও ভিটিনহা আক্রমণে গতি আনলেও জার্মানদের গোলমুখে প্রায়ই আটকে যান। ৭৪ মিনিটে অবশেষে সফল হয় প্যারিসের দল—ভিটিনহার পাস থেকে কাং-ইনের ক্রসে হেডে গোল করেন বদলি জোয়াও নেভেস, ব্যবধান কমে ২-১।
শেষ ১৫ মিনিটে একচেটিয়া আক্রমণ চালায় পিএসজি। নয়্যারের সেভে বেঁচে যায় বায়ার্ন, পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায় নেভেসের হেড। শেষ পর্যন্ত তিন ডিফেন্ডারে রক্ষণ সাজিয়ে ‘দেয়াল’ তুলে রাখেন কোম্পানি। নিঃশ্বাস বন্ধ করে শেষ বাঁশি শোনে মিউনিখ—প্যারিসে টিকে থাকা মানে জয়।

10 hours ago
9









English (US) ·