ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ঢাবির ভিসি

2 hours ago 5

ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান। কোপেনহেগেনে তাকে গ্রহণে সম্মতি চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি (এগ্রিমো) পাঠিয়েছে সরকার। এখন ডেনমার্ক সরকারের ক্লিয়ারেন্স পাওয়া বাকি রয়েছে। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তবে শুধু তিনিই নন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীকেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব চলছে। তারা হলেন এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী এবং তার বোন হুসনা সিদ্দিকী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে বাকি তিনজনকে নিয়ে আলোচনা এখনো প্রাথমিক ধাপে রয়েছে এবং এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ফাইলওয়ার্ক শুরু হয়নি।

বর্তমানে বাংলাদেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারের পদ শূন্য রয়েছে বা শূন্য হতে যাচ্ছে। সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর, দ্য হেগ, থিম্পু, ইয়াঙ্গুন ও তেহরান।

আলোচনায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে লুতফে সিদ্দিকী সিঙ্গাপুরে, তার বোন হুসনা সিদ্দিকী নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে এবং লামিয়া মোর্শেদ ইউরোপের কোনো দেশে দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে ইউরোপে বর্তমানে কোনো পদ শূন্য নেই বলে জানা গেছে।

এদিকে সরকারের নানা সুবিধা ভোগ করে আসা এসব ব্যক্তির রাষ্ট্রদূতের পদে বসার আগ্রহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ও বাইরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পেশাদার কূটনীতিকদের মতে, এতে তাদের প্রাপ্য সুযোগ আরও সঙ্কুচিত হচ্ছে।

কর্মকর্তাদের মতে, রাষ্ট্রদূতের মতো পেশাদার ও স্পর্শকাতর পদে অভিজ্ঞ কূটনীতিকদের বদলে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হলে তা কূটনৈতিক সেবার মান ও অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নষ্ট করবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কূটনীতিক জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘রাষ্ট্রদূত হওয়া মানে কেবল ব্যক্তিগত যোগ্যতা নয়, এর সঙ্গে জড়িত কূটনৈতিক ক্যারিয়ার, প্রশিক্ষণ, মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা, যা পেশাদার কর্মকর্তাদের বছরের পর বছর সময় লাগে অর্জন করতে।’

জেপিআই/এমএএইচ/এমএস

Read Entire Article