দোষী-নির্দোষের বাইরে অন্য কোনো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই আসামির

7 hours ago 3

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আসামি দোষী না নির্দোষ, তা জানানোর বাইরে তার অন্য কোনো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

অভিযোগ গঠনের আগে আদালতের প্রশ্নের জবাবে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে রোববার (২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ইনুর বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আইনের বিধান হচ্ছে, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয় যে আপনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন হয়েছে। আপনি কি নিজেকে নির্দোষ নাকি দোষী মনে করেন? নিজেকে দোষী বললে আদালত এর ভিত্তিতে রায় দিয়ে ফেলতে পারেন। আর নির্দোষ দাবি করলে মামলাটি বিচারে যাবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমেই তাকে (আসামি ইনু) প্রমাণ করতে হবে তিনি নির্দোষ। আর প্রসিকিউশন প্রমাণের চেষ্টা করবে তিনি দোষী। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি একটি জবাবই শুধু দিতে পারবেন। সেটা হচ্ছে দোষী না নির্দোষ। এর বাইরে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা আমলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হিসেবে ইনু একজন প্রভাবশালী নেতা। জোটের বৈঠকে আন্দোলন দমনে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ, কারফিউ জারি, দেখামাত্র গুলির ব্যাপারে তার ভূমিকা ছিল। ঊর্ধ্বতনের দায়ভারের কারণে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ গঠন হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইনু বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ছাত্রদের সন্ত্রাসী, জামায়াত-শিবির, বিএনপি বলে হত্যা করার যৌক্তিক বা বৈধতা তৈরি করেছেন। ড্রোন-হেলিকপ্টার ব্যবহার, বোম্বিং করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন।

এছাড়া তিনি শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন ছাত্র-জনতাকে কীভাবে আটক করা উচিত। জেলে না পাঠিয়ে কী করা উচিত। আট নম্বর অভিযোগটি ছিল কুষ্টিয়া শহরে গত বছরের ৫ আগস্ট ইনুর নির্দেশে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ মিলে ছয় ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে।

আগামী ৩০ নভেম্বর এ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এফএইচ/একিউএফ/জিকেএস

Read Entire Article