নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫ ভুল করেন অধিকাংশ মানুষ
প্রতি বছরই নামি-বেনামি কোম্পানিগুলো বাজারে আনছে অসংখ্য নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন। দাম, নকশা ও ফিচারের দিক থেকে একেকটা ফোন একেক রকম— কোনোটায় বাড়তি ফিচার, আবার কোনোটা আগের মডেলের সামান্য পরিবর্তিত সংস্করণ। আর এদের মধ্য থেকেই অনেকেই বেছে নেন নিজেদের ‘স্বপ্নের ফোন’।
কিন্তু সমস্যা হলো, নতুন ফোন কেনার সময় আমরা অনেকেই কিছু সাধারণ ভুল করে ফেলি। যেগুলোর কারণে কিছুদিন না যেতেই শুরু হয় আফসোস। নিচে এমনই ৫টি ভুলের কথা তুলে ধরা হলো।
১. স্টোরেজ প্রয়োজন নিয়ে না ভাবা
বর্তমানে অ্যাপ, ছবি, ভিডিও— সবই দখল করে নিচ্ছে প্রচুর জায়গা। কিন্তু অনেকেই বোঝেন না, তাদের আসলে কতটুকু স্টোরেজ প্রয়োজন। পরে গিয়ে দেখা যায়, অল্প সময়েই ফোনের মেমোরি পূর্ণ, বাধ্য হয়ে ডিলিট করতে হচ্ছে অ্যাপ ও ছবি। যদিও মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে জায়গা বাড়ানো যায়, তবে সেটা বাড়তি খরচের বিষয়। তাই ফোন কেনার সময় নিজের ব্যবহারের ধরন বুঝে যথেষ্ট স্টোরেজযুক্ত ফোন বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে উদাসীনতা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অন্যতম দুর্বলতা হলো, সব মডেল নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট পায় না। পুরোনো সিস্টেমে নতুন অ্যাপের ফিচার ঠিকভাবে চলে না, বাড়ে ম্যালওয়্যার ও নিরাপত্তা ঝুঁকি। তাই নতুন ফোন কেনার আগে দেখে নিন যে, ব্র্যান্ডটি কত বছর পর্যন্ত সফটওয়্যার সাপোর্ট দেয়। এখন অনেক কোম্পানি ৪ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত আপডেটের নিশ্চয়তা দিচ্ছে, আবার কেউ কেউ মাত্র ১-২ বছরেই শেষ করে দেয়। দীর্ঘমেয়াদি সাপোর্ট যেটি দিচ্ছে, সেটিকেই বেছে নিন।
৩. ব্র্যান্ডের দাবি অন্ধভাবে বিশ্বাস করা
‘১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’ শুনলেই অনেকে ধরে নেন যে, ছবিও সেরা হবে। কিন্তু বাস্তবে ৪৮ বা ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাই অনেক সময় বেশি ভালো পারফর্ম করে। একইভাবে ৫৫০০ এমএএইচ ব্যাটারিও সবসময় ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির চেয়ে ভালো চলে না। মূল কথা, ফোনের সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনই পারফরম্যান্স নির্ধারণ করে। তাই কেনার আগে ইউটিউব রিভিউ দেখুন, পরিচিত কারও অভিজ্ঞতা শুনুন।
৪. নিজের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করা
সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর একটি নিজের প্রয়োজন বুঝে ফোন না কেনা। অনেকেই শুধু জনপ্রিয়তার কারণে এমন ফোন কিনে ফেলেন, যা তাদের বাজেটের বাইরে এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। প্রথমেই ঠিক করুন, ফোনটি কীসের জন্য নিচ্ছেন— শুধু কল ও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য, নাকি গেমিং বা অফিসের কাজেও ব্যবহার করবেন? এখন অনেক বাজেটের ফোনও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়, তাই নিজের প্রয়োজনটাই হোক মূল মানদণ্ড।
৫. ছাড় বা অফারের জন্য অপেক্ষা না করা
নতুন ফোন বাজারে আসার পরপরই কিনে ফেলাই অনেকের অভ্যাস। কিন্তু এটাই আরেকটি ভুল। বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দাম মুক্তির কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কিছুটা কমে যায়, কিংবা ডিল ও ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়। তাই সামান্য অপেক্ষা করলেই আপনি একই ফোনটি অনেক সাশ্রয়ী দামে পেতে পারেন।
সূত্র : জিও নিউজ

8 hours ago
3









English (US) ·