বান্দরবানে সওজের ৫০ লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

8 hours ago 6

বান্দরবানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা থেকে ৫০ লাখ টাকা ৯টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ৫০ বছর পুরোনো গাছগুলো কাটার ফলে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের ওই অংশে ভাঙন সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান সদরের মেঘলা মৃত্তিকা অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আশরাফ উল্লাহ বাচ্চু বান্দরবান বাজার এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, বান্দরবান সদরের মেঘলা মৃত্তিকা অফিস সংলগ্ন এলায় বান্দরবান-কেরানিহাট মূল সড়কের পাশে সওজের সরকারি জায়গায় অন্তত ৫০ বছরের পুরানো বেশ কিছু মেহগনি, গামারি ও কড়ই গাছ ছিল। যা সড়কটি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। সে গাছগুলো থেকে ৭টি কেটে ফেলা হয়েছে। দুইটি অর্ধেকের বেশি কাটা হয়েছে। গাছ কাটার আগে বনবিভাগের অনুমতিও নেয়নি তিনি। যা সরকারি গাছ লুটের শামিল। পাশাপাশি সড়কটিকেও হুমকিতে ফেলছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আশরাফুল্লাহ বাচ্চু ও গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা।

এতে স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ও বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বান্দরবানে সওজের ৫০ লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

এ বিষয়ে আশরাফ উল্লাহ বাচ্চুর দাবি, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো তার নিজের জায়গা থেকে কাটা হয়েছে। সড়ক বিভাগের সীমানা পিলারগুলো সেনাবাহিনী দিয়েছে। তবে গাছ কাটার আগে বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়নি।

বান্দরবান সদর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন বলেন, সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বনবিভাগ, সড়ক বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অং শৈ প্রু মারমা ব‌লেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের সীমানার অভ্যন্তরীণ জায়গার গাছ। তাই এগু‌লো আইনি প্রক্রিয়ায় বন বিভাগ, পু‌লিশ ও নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমোদন সা‌পে‌ক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত সা‌পে‌ক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

নয়ন চক্রবর্তী/এমএন/এএসএম

Read Entire Article