ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয়েছিল নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে। রেকর্ডপূর্ণ এই ফাইনালে প্রোটিয়া নারীদের হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। এই ম্যাচে রেকর্ড হলো অনেকগুলো। ভারতীয় ক্রিকেটাররা যেমন রেকর্ড গড়েছেন, তেমনি ট্র্যাজিক হিরো হিসেবে রেকর্ডের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভারডটের নামও। পাঠকদের জন্য সে রেকর্ডগুলোই তুলে ধরা হলো।
২৯৮/৭: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে ভারতের ৭ উইকেট হারিযে ২৯৮ রান করে। যা নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০২২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান করে। যা এখনও শীর্ষে।
ভারত চতুর্থ: চতুর্থ দল হিসেবে নারী বিশ্বকাপ জয়ী হলো ভারত। তাদের আগে শিরোপা জয় করেছে- অস্ট্রেলিয়া: ৭ বার, ইংল্যান্ড: ৪ বার, নিউজিল্যান্ড: ১ বার
এবং নতুন করে ভারত যুক্ত হলো এ তালিকায়।
৫৮ ও ৩৯ রানে ৫: ফাইনালে দীপ্তি শর্মা দেখালেন অনন্য এক পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে ৫৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৩৯ রানে ৫ উইকেট। তিনি এখন বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার (পুরুষ বা নারী) যিনি কোনো ওয়ানডে নকআউট ম্যাচে একসঙ্গে হাফসেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।
দীপ্তি একইসঙ্গে নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসেও প্রথম যিনি এমন কীর্তি গড়লেন। তিনি নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্বিতীয় বোলার, যিনি পাঁচ উইকেট নিলেন। প্রথমজন ছিলেন ইংল্যান্ডের আনিয়া শ্রাবসোল, যিনি ২০১৭ সালের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৬/৪৬ নিয়েছিলেন।
২২: দীপ্তি পুরো টুর্নামেন্টে নিয়েছেন ২২ উইকেট, যা নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শীর্ষে আছেন লিন ফুলস্টন (২৩ উইকেট, ১৯৮২), আর দীপ্তি সমতায় আছেন জ্যাকি লর্ডের (২২ উইকেট, ১৯৮২) সঙ্গে।
তিনি এই বিশ্বকাপে আরও একটি অনন্য কীর্তি গড়েছেন, ২০০ প্লাস রান ও ২০ প্লাস উইকেট নেওয়া প্রথম খেলোয়াড়। করেছেন ২১৫ রান (৩টি হাফসেঞ্চুরি) ও নিয়েছেন দুটি ৪ প্লাস উইকেট।
২১ বছর: ফাইনালে ম্যাচসেরা শেফালি ভার্মা, মাত্র ২১ বছর ২৭৮ দিন বয়সে, ইতিহাসের সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার জেস ডাফিনের, যিনি ২০১৩ সালের ফাইনালে (২৩ বছর ২৩৫ দিন বয়সে) এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
৫৭১ : দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট যদিও শেষ পর্যন্ত হেরেছেন, তবুও লিখলেন ইতিহাস। টুর্নামেন্টে তিনি করেছেন ৫৭১ রান, যা নারী বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড। পূর্বের রেকর্ড ছিল অ্যালিসা হিলির (৫০৯ রান, ২০২২)। উলভারডট হিলির মতোই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল—দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছেন।
তার নামের পাশে এখন নারী বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ফিফটি-প্লাস স্কোর (৪ বার)। এছাড়া ডেবি হকলির (১৫০১ রান) পরই তিনি এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
১০৪: ভারতের ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল দারুণভাবে, স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বার্মা জুটিতে উঠেছিল ১০৪ রান, যা নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদ্বোধনী জুটি। প্রথম রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলি ও র্যাচেল হেইন্সের (১৬০ রান), ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২২ সালের ফাইনালে।
আইএইচএস/

7 hours ago
4









English (US) ·