বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বেস্টিনেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম আবদুল নূর ও তার সহযোগী রুহুল আমিনের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিয়ে বর্তমানে মালয়েশিয়ার পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে যৌথভাবে কাজ চলছে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের সঙ্গে সরকার এবং পুলিশের সঙ্গে পুলিশ ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে বিষয়টি পুলিশ পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। আপাতত আমি এখানেই সীমিত থাকছি, এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
মন্ত্রী আজ কুয়ালালামপুরে জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ এবং জাতীয় জনসংখ্যা ও পরিবার উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে ‘পিসমেকার বডি’ নামের একটি পাইলট প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তবে সাইফুদ্দিন স্পষ্ট করে বলেননি যে ঢাকা কর্তৃপক্ষ আমিনুল ও রুহুলের প্রত্যর্পণের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য কী তা জানিয়েছে কি না।
গত বছরের নভেম্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ায় আবেদন পাঠানো হয়েছে যাতে আমিনুল ও রুহুলকে গ্রেপ্তার ও হস্তান্তর করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তারা মানিলন্ডারিং, চাঁদাবাজি ও বিদেশে শ্রমিকপাচার কার্যক্রমে জড়িত। তবে মালয়েশিয়া সে সময় ঢাকার কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছিল- আটকাদেশের উদ্দেশ্য কি প্রত্যর্পণের জন্য, না কি অতিরিক্ত তদন্তের জন্য।
সাইফুদ্দিন বলেছিলেন, মালয়েশিয়া সরকারের আগে জানতে হবে যে আটকের উদ্দেশ্য আসলে কী? এটি কি তদন্তের অংশ, না কি প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার অংশ।
আমিনুল বেস্টিনেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান, যা মালয়েশিয়া সরকারের ব্যবহৃত ‘কেন্দ্রীয় বিদেশি শ্রমিক পরিচালনা ব্যবস্থা (এফডব্লিউসিএমএস)’ পরিচালনা করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া আমিনুল বর্তমানে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তিনি এখন আর বেস্টিনেটের চেয়ারম্যান নন, তবে এখনো কোম্পানিটির অংশীদার হিসেবে যুক্ত আছেন।
আহমাদুল কবির/একিউএফ/এএসএম

 7 hours ago
                        7
                        7 hours ago
                        7
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·