সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন বহিষ্কৃত নেতা

5 hours ago 4

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ (সদর-দেবহাটা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন।

তবে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আব্দুর রউফকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। সেসময় কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণে আব্দুর রউফকে বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু এবং সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিমের কাছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বহিষ্কারাদেশ এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।

এছাড়া গত ২৩ এপ্রিল এক মাহফিলে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা কবির বিন সামাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে আলোচনায় আসেন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আলেম-ওলামারা মানববন্ধন করে তার গ্রেফতারের দাবিও জানান।

পরদিন জেলা বিএনপি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আব্দুর রউফ বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী নন। তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এজন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে।’ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু।

এদিকে বহিষ্কৃত নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল আলিমের সমর্থকেরা সোমবার রাতেই বিক্ষোভে নামেন। তারা জানান, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা যদি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করেন, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

তবে আব্দুর রউফের মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় বিএনপির মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। রাত ১০টার পর সাতক্ষীরা বাইপাস মোড়ে মশাল মিছিল, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন আব্দুল আলিমের সমর্থকরা। এতে কিছু সময়ের জন্য খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ‘যিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাকেই আবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে- এটি দলের প্রতি অবমাননা।’

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন লাবসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির নেতা আতিয়ার রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম প্রমুখ।

আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article